এছাড়া স্থানীয় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি), বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সংশ্লিষ্ট কেউই দায় এড়াতে পারেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওই ঘটনা আদালতের নজরে আনা আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় প্রশাসনের অবহেলা পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আসার পর বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।’
আরও পড়ুন: বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানীর ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ১
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় নারীর স্বামীর সম্পৃক্ততা ছিল। গত ১০-১২ বছর ধরে তার স্ত্রীর সাথে কোনো যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু তিনি ঘটনার ৫-৬ দিন আগে ওই নারীর সাথে যোগাযোগ করে এসেছিলেন। নারীকে শ্লীলতাহানি করার ঘটনায় স্থানীয় এএসপি, বেগমগঞ্জ থানার ওসি, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও চৌকিদারের অবহেলা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এজন্য এএসপি, ওসি, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও চৌকিদারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর এ বিষয়ে শুনানির জন্যে আগামী ২৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনার একমাসেরও বেশি সময় পর গত ৪ অক্টোবর দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই দুটি মামলা হয়।
পরে বিভিন্ন মাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।